কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

bdnews24

সৌদি রাষ্ট্রদুতের ইফতার পার্টি


সৌদি রাষ্ট্রদুতের ইফতার পার্টি
জামায়াতের সঙ্গে অংশ নিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামায়াতে ইসলামীর উপস্স্থিতিতে কোনো বৈঠকে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও গতকাল শুক্রবার ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদুতের বাসায় ইফতার পার্টিতে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, গতকাল ঢাকার গুলশানে সৌদি রাষ্ট্রদুত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরির বাসভবনে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মো. নুরউদ্দিন, কয়েকটি দৈনিকের সম্পাদক, সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে সব দলের সঙ্গে একত্রে আলোচনার চিন্তাভাবনা করেছিল। তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছিলেন, জামায়াত থাকলে আওয়ামী লীগ কোনো সংলাপে যাবে না। এর আগে গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদুত জেমস এফ মরিয়ার্টির সঙ্গে তাঁর গুলশানের বাসভবনে এক বৈঠকে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর, বিএনপির সহসভাপতি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। তখনো জামায়াত নেতাদের সঙ্গে একই বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতাদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল।

ওই বৈঠকের খবর পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পরদিনই আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষ থেকে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর মার্কিন দুতাবাসের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে আপত্তি জানান। তাতে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর উপস্স্থিতিতে কোনো বৈঠকে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতিগত অবস্থান রয়েছে। ভবিষ্যতে এ রকম বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর সময় এ বিষয়টি ভাবনায় রাখার জন্য দুতাবাসের কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়।
এত কিছুর পরও গতকাল জামায়াত নেতাদের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, "এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত বা মার্কিন দুতাবাসে চিঠি দেওয়া সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
তবে আওয়ামী লীগের নেতা আসাদুজ্জামান নুর প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানেই আওয়ামী লীগের নেতাদের না যাওয়ার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে।

প্রথম আলো, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

BBC Asia-Pacific

CNN.com - Asia