প্রথম আলো, ২৬ আগস্ট, ২০০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গতকাল বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়− বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মাথায় আঘাত পেলেও তা গুরুতর নয়। তিনি অজ্ঞান হননি, বমিও করেননি। স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছেন। প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ তারেক রহমানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
গত বছরের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ বছরের ৩১ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য তারেক রহমানকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। তখন থেকে বিএসএমএমইউয়ের ডি ব্লকের চারতলার একটি কক্ষে তিনি চিকিৎসাধীন। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. তাহির বেলা দুইটায় সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১২টার দিকে তারেক রহমান তাঁর কেবিন-সংলগ্ন বাথরুমে পড়ে যান। তিনি মাথার সামনের দিকে আঘাত পেয়েছেন। তবে আঘাত গুরুতর নয়। তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বিকেল পাঁচটায় কারা প্রশাসনের উপমহাপরিদর্শক মেজর সামসুল হায়দার ছিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্িথত সাংবাদিকদের জানান, তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা ৪৮ ঘণ্টা তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইদ্রিস আলীর অধীনে তারেকের চিকিৎসা চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তারেক রহমানের মেরুদন্ডে সমস্যা আছে। ডান পায়ে পুরো ভর দিয়ে হাঁটতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একই বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহম্মেদ, ডা. আব্দুল আওয়াল, ডা. কাজী মাযহারুল ইসলাম দোলন ও ডা. শহীদ ইসলাম খান আহত তারেক রহমানের চিকিৎসার ব্যাপারে ডা. ইদ্রিস আলীকে সহযোগিতা করেন। তবে এখন কোনো বোর্ড নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উপাচার্য।
কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসক তারেক রহমানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত বক্তব্যে বলেছে, এটি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের ব্যক্তিগত অভিমত। প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ তারেক রহমানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।