কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

bdnews24

তারেকের আঘাত গুরুতর নয়

২৬ আগস্ট, ২০০৮
সমকাল প্রতিবেদক

বিএনপির কারাবন্দি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান হাসপাতালের বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা বলেছেন, আঘাতটি গুরুতর নয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারপরও তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি স্বাভাবিক আছেন।
এদিকে তারেক রহমানের আহত হওয়ার খবরকে ব্যবহার করে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অপপ্রচার শুরু হয়। বলা হয়, তারেক রহমান হাসপাতালের বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় মারা গেছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে সমকাল অফিসে টেলিফোন করে ‘তারেক রহমান মারা গেছেন কি-না’ জানতে চাওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারেকের আঘাত পাওয়ার খবর শুনে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তখনই তার কেবিনে ছুটে যান। সেখানে তারা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ও তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেন। প্রাথমিকভাবে গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি এবং আঘাতটি গুরুতর নয় বলে তারা মত দেন। চিকিৎসকরা জানান, আঘাতের স্থানটি ফুলে ওঠায় সেখানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। গুরুতর কিছু হলো কি-না, তা পরীক্ষার জন্য আজ-কালের মধ্যে তার মাথার সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন বোর্ডের চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার লিখিত বক্তব্য দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সোমবার দুপুর ১২টার সময় তারেক রহমান বাথরুমে পড়ে গিয়ে তার মাথার সম্মুখভাগে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং আঘাতের স্থানের ছাল উঠে যায়। তিনি অজ্ঞান হননি এবং বমিও করেননি। বর্তমানে তার পুরো জ্ঞান রয়েছে। তিনি স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছেন। তবু তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার স্বার্থে তার সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

তারেক রহমানের প্যানেল চিকিৎসক অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, তারেক রহমান কোমর, হাঁটু ও পায়ের গোড়ালিতেও আঘাত পেয়েছেন।
মহা কারাপরিদর্শক মেজর শামসুল হায়দার ছিদ্দিকী সমকালকে বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে তারেক রহমানকে দেখতে যাই। তখন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। তার মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তার আঘাত গুরুতর নয় বলে অবহিত করেছেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, অসাবধানতার কারণেই তারেক রহমান বাথরুমে পড়ে যান। তার বিছানা থেকে বাথরুমের দরজা পর্যন্ত একটি হাতল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাথরুমের ভেতর বেসিনেও শক্ত হাতল রয়েছে। সেই হাতল ধরেই তিনি আসা-যাওয়া করেন। সম্ভবত সেই হাতল ধরতে না পারায় শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে তিনি পড়ে যান।
এদিকে তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে। সোমবার ড্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশ করা হবে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি তারেক রহমানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জটিলতা এড়াতে স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশের সিন্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার তারেক রহমানের স্বাস্থ্যের প্রকৃত তথ্য সংবলিত এক লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন থেকে প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

BBC Asia-Pacific

CNN.com - Asia