কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

bdnews24

আসামিরা কে কোথায়

বিশেষ প্রতিনিধি

জেলহত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা একমাত্র আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ৮ জনই বর্তমানে পলাতক। সাজা কার্যকর করার জন্য যাদের কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল, গতকাল হাইকোর্টের রায়ে তারা এই হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে এখন মুক্ত।

২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মতিউর রহমান জেলহত্যা মামলার রায়ে তাদের অভিযুক্ত করেন। সে রায়ে চার নেতার ঘাতক হিসেবে রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার শরাফত আলী ও আবুল হোসেন মৃধাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। নেপথ্যের নায়ক হিসেবে এছাড়াও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামিই ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় লে. কর্নেল (বরখাস্ত.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সৈয়দ শাহরিয়ার রশীদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ (বরখাস্ত), লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) এমএইচএমবি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহম্মদ এসি, লে. কর্নেল (অব.) এএম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব্যাহতি) আহাম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব্যাহতি) মোঃ কিসমত হোসেন ও ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারের।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১২ আসামির চারজন আপিল করেন। বর্তমানে জেলে বন্দি এই চারজনকেই আদালত খালাস দিয়েছেন। যদিও বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় মৃত্যুদ- হওয়ায় তাদের এখনো কারাগারেই থাকতে হবে। এরা হচ্ছেন লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সৈয়দ শাহরিয়ার রশীদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা ও লে. কর্নেল (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ।

হাইকোর্টের রায়ে অপর ৮ জন সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। তাদের আপিল না থাকায় নিম্ন আদালতের রায়ই এখনো তাদের জন্য বহাল রয়েছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকেই এরা বিদেশে পলাতক। লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ বর্তমানে বেলজিয়ামে। তবে তিনি লিবিয়ায় বসবাস করেন বলেও কেউ কেউ দাবি করছেন। লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির ছোট ভাইয়ের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ইতালির মিলান শহরেও রশীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। ১৯৯৮ সালে সে দেশের সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। তারপর থেকে তার আবাস যেখানেই হোক না কেন, নিয়মিত ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে যাতায়াত আছে তার।

লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম অধিকাংশ সময় থাকেন হংকং। পাকিস্তান, লিবিয়া ও কেনিয়ায় তার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।

লে. কর্নেল (অব.) এএম রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যত্র চলে গেছেন বলে বছর দুই আগে খবর প্রকাশিত হয়।

লে. কর্নেল (অব.) এমএইচএমবি নূর চৌধুরী বর্তমানে কানাডায়।
ক্যাপ্টেল্টন (অব.) আবদুল মাজেদ ভারতে থাকলেও অনেকদিন ধরে তার কোনো খবর নেই। একই অবস্থা মেজর (অব্যাহতি) আহাম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব্যাহতি) মোঃ কিসমত হোসেন ও ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারেরও।

সমকাল, ২৯ আগস্ট, ২০০৮

BBC Asia-Pacific

CNN.com - Asia