আবার রাজপথ উত্তপ্ত, নিহত ১
বাথরুমে পড়ে তারেকের আঘাত পাওয়ার খবরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ - গাড়িতে আগুন, বিস্ফোরণে ব্যবসায়ীর মৃত্যু - বগুড়ায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগ
সমকাল প্রতিবেদক, ২৬, আগস্ট, ২০০৮
হাসপাতালের বাথরুমে পড়ে কারাবন্দি তারেক রহমানের আহত হওয়ার খবর শুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এলাকায় ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ভাংচুর এবং গাড়িতে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ঢাকা কলেজের সামনে আগুনে মাইত্রেক্রাবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ী। আর রোকেয়া হলের সামনে বিক্ষোভকারীরা একটি ট্যাক্সিক্যাব জ্বালিয়ে দিয়েছেন। এসব ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষ হয়, তারা কিছুক্ষণ ধরে পরস্পকে ধাওয়া করে। এতে ছাত্রদলের কমপক্ষে ১৫ জন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। এ সময় আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে বগুড়ায় আযীযুল হক কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক ভাংচুর, সড়ক ও রেলপথ অবরোধ এবং ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর নিউ মার্কেট ও শাহবাগ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়া চারুকলার সামনে ট্যাক্সিক্যাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ট্যাক্সিক্যাবের চালক গোপাল কুমার দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২শ’ থেকে আড়াইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে ছাত্রদের সঙ্গে সেনাদের বচসা থেকে জ্বলে ওঠা ২০-২২ আগস্ট তিনদিনের প্রচণ্ড বিক্ষোভ-ভাংচুর ঘটনাবলির ঠিক এক বছর পর গতকালই রাজপথ আবার এতটা তপ্ত হলো। তবে আড়াই ঘণ্টার হাঙ্গামার পর এলাকা শান্ত হয়ে যায় ও ক্যাম্পাসে থমথমে ভাব বিরাজ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সারাদিনই স্বাভাবিকভাবে ক্লাস চলেছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই আশঙ্কা ও গুঞ্জন শোনা যায় যে, নানা অঘটনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগের সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার ঘটনাও তারা প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ চলছিল। ছাত্রদলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্টি’ত ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান বাথরুমে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন- এমন খবর মোবাইল ফোনে চলে আসে সমাবেশে যোগদানকারী নেতা-কর্মীদের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন এবং বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের দিকে এগোতে থাকেন। সেখানে প্রিজন সেলে তারেক রয়েছেন।
বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ শ’দুয়েক পুলিশ মিছিলটি চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে বাধা দেয়। ছাত্ররা পিছু হটে এবং ১০-১২টি গাড়ি ভাংচুর করে। একই সময় রোকেয়া হলের সামনে একটি কালো ট্যাক্সিক্যাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন নেভানোর জন্য ছুটে আসেন দমকল কর্মীরা। কিন্তু আগেই ট্যাক্সিক্যাবটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুলিশ ছাত্রদের নিবৃত্ত করার চে®দ্বা করলে তারা পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশও পাল্টা ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের দিকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন ছাত্রদলের সদস্যরা। এখানে চারজন ছাত্র আহত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যখন এ ঘটনা ঘটছে, ওই খবর ঢাকা কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ গুজব ছড়ায়, তারেক রহমান মারা গেছেন। ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বেলা ১টার দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় এসে ১০-১২টি গাড়ি ভাংচুর করেন। কৌতূহলী মানুষ সমকাল কার্যালয়ে ফোন করে তারেক রহমানের সর্বশেষ অবস্থা এবং কেউ কেউ তিনি মারা গেছেন কি-না জানতে চান।
ব্যবসায়ীর মৃত্যু :
ঢাকা কলেজের ছাত্রদলের সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করে এবং ওই এলাকায় গ্লোব শপিং সেন্টারে ভাংচুর চালায়। সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্ট’লে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ছাত্ররা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয়পক্ষ পরষ্পরকে ধাওয়া করলে ৬-৭ জন ছাত্র আহত হন।
বেলা সোয়া ২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-৫১-৭০২৩) ফাঁকা রাস্তায় সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিক থেকে নীলক্ষেত এলাকায় যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি ঢাকা কলেজের সামনে ট্রাফিক সিগন্যালের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে গাড়িচালক নূরুল ইসলামকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আগুন জ্বলার কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঢাকা কলেজের বিপরীতে গোল্ডেন গেট মার্কেটে তার দোকানের সামনের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখছিলেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। বিস্ফোরিত গ্যাস সিলিন্ডারের একটি টুকরো তার বুকের ভেতর ঢুকে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মাইক্রোবাসের ছাদ ও যন্ত্রাংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে দুই থেকে আড়াই শ’ গজ দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এমনকি আশপাশের বহুতল ভবন পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে বহুতল ভবনের লোকজন, ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করেন এবং ভয়ে অফিস থেকে লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। এরপর ছাত্রদলের সদস্যরা চলে যান। পুলিশ রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়।
বিকেল ৪টার দিকে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গাউছিয়া, নিউমার্কেট, চন্দ্রিমাসহ বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও হকাররা। তারা দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। দ্বিতীয় দফায় রাস্তা বন্ধ হলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় রাস্তা বন্ধ ছিল। ফলে মার্কেটে আসা নারী-শিশুসহ হাজার হাজার ক্রেতা বিপাকে পড়েন।
ঢাকা কলেজের বিপরীতে গোল্ডেন গেট মার্কেটের রাফিন ফ্যাশন নামে একটি রেডিমেড পোশাকের দোকানের মালিক ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। অন্য ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সংবাদ পেয়ে তার স্ত্রী সুইটি বেগম, শিশুসন্তান সবুজ, সাজু ও সাথী বাবাকে দেখতে হাসপাতালে আসে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের কান্নায় হাসপাতালে অন্যরকম এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মৃত আবুল কাশেম। বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার গাউরিয়া গ্রামে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি জিগাতলার ঋষিপাড়ার ৭৮ নম্বর বাড়িতে বসবাস করতেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক গাড়ি ভাংচুর করেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা একটি ক্যাবে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেন। এতে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বটতলার সমাবেশ থেকে সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে ছাত্রদলের কর্মীদের মিছিল হাসপাতাল অভিমুখে এগিয়ে গেলে চারুকলার সামনে পুলিশের বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিক্ষুব্ধকর্মীরা পিছু হটেন। লাঠিচার্জে সংগঠনের ৩-৪ নেতা-কর্মী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশি বাধার মুখে মিছিলটি ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময় চারুকলা থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়কে মাইক্রোবাস, সিএনজি-অটোরিকশা, মিশুক ও প্রাইভেটকারসহ ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এরপরই রোকেয়া হলের সামনে ট্যাক্সিক্যাবে আগুন দেওয়া হয়। পরে দেখা গেছে, টোকাইরা পোড়া গাড়িটি ভেঙে টুকরো টুকরো করে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্যাম্পাস বন্ধের গুঞ্জন :
কোনো সংঘর্ষের জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যা¤ক্সাস তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে গত দুই সপ্তাহ ধরে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা গুঞ্জনকেও আরো জোরালো করে দিয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল সরকারের ওই ফাঁদে পা দিয়েছে বলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা মনে করছেন।
ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকীব বাদশা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে তারা কোনোভাবেই বন্ধ রাখতে চান না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সব দাবি আদায় করতে চান। তিনি বলেন, কোনো সংগঠন ক্যাম্পাস বন্ধের যড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, সব আন্দোলন বানচালের জন্য সরকার রাজশাহীর মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও বল্পেব্দর পাঁয়তারা করছে। কোনো কোনো সংগঠন সে লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে তিনি মনে করেন।
বগুড়ায় ভাংচুর, ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন
বগুড়া ব্যুরো জানায়, তারেক রহমানের আঘাত পাওয়ার খবরে বগুড়ায় ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা দুপুরে সরকারি আযীযুল হক কলেজ ক্যা¤ক্সাসে ব্যাপক ভাংচুর, অ¹িুসংযোগ, সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন।
এর আগে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা রাতে বগুড়ার গাবতলী স্টেশনে অপেক্ষমাণ ট্রেনের ইঞ্জিনে অগ্নিসংযোগ এবং স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ভাংচুর চালিয়েছেন। এ ঘটনায় আতঙ্কিত ট্রেন যাত্রী ও রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাইবান্ধার বোনারপাড়া থেকে বগুড়ার সান্তাহারগামী একটি ট্রেন রাত ৮টার দিকে গাবতলী স্টেশনে পৌঁছার পরপরই বিএনপি ও ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা স্টেশনে ভাংচুর শুরু করেন এবং ট্রেনটির ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেন।
অবরোধের কারণে কলেজের সামনের সাতমাথা-তিনমাথা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা পিছু হটে গেলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল আবার শুরু হয়।
জাবিতে বিক্ষোভ
জাবি প্রতিনিধি জানান, তারেক রহমানের আহত হওয়ার খবরে গতকাল সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল জাবি শাখা। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক আধাঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের উভয় পাশে আধাঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। মহাসড়কেই অবরোধ-পরবর্তী সমাবেশ হয়।
এক সন্ত্রাসীর জন্য এতকিছু? যারা করেছে, তারা কোন শ্রেণীর তা সহজেই অনুমেয়। আসলেই বিএনপি বা ছাত্রদল কোন ভাল মানুষ করে না। চোর, বাটপার, সন্ত্রাসী, প্রতারক, দাঙ্গাবাজ এই ধরণের মানুষরাই বিএনপিকে সমর্থন করে।