কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

bdnews24

সমর্থন করি

মূর্খ নেতাদের জনসভায় আর যাবো না। এই অঙ্গীকার আমার একার আর অহঙ্কার নয়। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালাগুলো সম্পূর্ণভাবে সমর্থনযোগ্য।
খবর: প্রথম আলো, ২২ জুন ০৮

প্রার্থীদের ব্যক্তিগত সাতটি তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সাতটি তথ্য দিতেই হবে। এর আগে এসব তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক ছিল না। তা ছাড়া বর্তমান আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকতে পারবেন না।

নতুন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা অধ্যাদেশের ধারা ৯-এর বিধান সাপেক্ষে সিটি ও পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালার ৩(ঈ) ধারায় সাত তথ্য প্রকাশের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন ফরমে এ সংক্রান্ত আলাদা ঘর রেখেছে।

মেয়র, সংরক্ষিত আসন ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কমিশন-নির্ধারিত ফরমে সাতটি তথ্য দিতে হবে।

এগুলো হলো:
  • ১. প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সনদপত্রের ফটোকপি
  • ২. বর্তমানে প্রার্থী কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত আছেন কি না, থাকলে বিবরণ;
  • ৩. অতীতে ফৌজদারি মামলার রেকর্ড আছে কি না, থাকলে রায় কী ছিল;
  • ৪. ব্যবসা বা পেশার বিবরণী;
  • ৫. প্রার্থীর আয়ের উৎস;
  • ৬. প্রার্থীর নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণ এবং
  • ৭. প্রার্থীর ঋণসংক্রান্ত তথ্যাবলি।
আদালতের রায়ে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আট তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন স্থানীয় নির্বাচনেও প্রার্থীদের এসব ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক করে। তবে প্রকাশযোগ্য এই আট তথ্যের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য একটি তথ্য বাতিল করা হয়; এটা হলো প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। অর্থাৎ প্রার্থী আগের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে থাকলে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন তা প্রকাশ করা। তা ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী হলে জনগণের জন্য কী করবেন সে সম্পর্কে জানানো।

প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়: যেকোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী সিটি ও পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে না। তবে তিনি দলীয় প্রতীক বা দলের প্রভাব নির্বাচনী প্রচারকাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু ওই প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হলে তাঁকে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণ সদস্য হিসেবে থাকতে কোনো বাধা থাকবে না।

নির্বাচনী ব্যয়: প্রস্তাবিত ‘সিটি ও পৌরসভা নির্বাচনসংক্রান্ত বিধিমালা ২০০৮’-এ মেয়রদের ব্যয় নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট সিটি বা পৌর এলাকার এবং কাউন্সিলরদের (ওয়ার্ড কমিশনার) জন্য ব্যয় নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার অনুপাতে। প্রার্থীর এই ব্যয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ভোটার অনুপাতে সিটি মেয়র প্রার্থী সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। অন্যদিকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সর্বনিম্ন এক লাখ ১৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সর্বনিম্ন দুই লাখ ১৫ হাজার থেকে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। অন্যদিকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকবে: সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় এই নির্বাচনে তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ থাকবে।

সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা ২০০৮-এর ৮৩ ও ৮৬ ধারা অনুযায়ী তারা এ ক্ষমতা পাবে।

BBC Asia-Pacific

CNN.com - Asia