জনকণ্ঠ, ২৮ জুন, ২০০৮
জিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থাই মহিলার মোবাইল চুরির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক থাই মহিলা যাত্রীর মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে থাই মহিলার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে তিনি চড় দিরে বিমানবন্দরে হুলস্থুল পড়ে যায়। পরে গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার পকেট থেকেই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত এ পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুক। ব্যঙ্ককে ইন্টারপোলের এক বিশেষ সেমিনারে যোগদান শেষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় থাই এয়ারওয়েজযোগে জিয়ায় অবতরণের কিছু পরেই ঘটনাটি ঘটে। মোবাইল চুরির বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। তবে জিডি হয়েছে। এ বিষয়ে আইজিপি নুর মোহাম্মদ একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে বিমানবন্দর থানা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধতন পুলিশ মহলকে প্রতিবেদন দাখিলের পর ওপরের নির্দেশেই ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টায় থাই এয়ারওয়েজ ল্যান্ড করার পর যাত্রীরা বেল্ট থেকে মালামাল নিচ্ছিলেন। এ সময় পিয়াথ সারাপক নামের এক থাই মহিলা পাশে দাঁড়ানো মহিউদ্দিন ফারুকের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ করেন। মহিউদ্দিন নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করলে দুজনের মধ্যে তুমুল তর্ক বেধে যায়। থাই মহিলার বাংলাদেশী স্বামী তখন তার সঙ্গেই ছিলেন বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে ওই মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা মহিউদ্দিনকে চড় দিলে হুলস্থুল বেধে যায়। গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে আসেন। তারা মহিউদ্দিনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন যে, তিনি ইন্টারপোলের সদর দফতরে বাংলাদেশ শাখার ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো ডেস্কে কর্মরত। প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের পরে গোয়েন্দাদের চাপাচাপিতে মহিউদ্দিন মহিলার মোবাইলটি তার পকেট থেকেই বের করে দেন।
ইন্টারপোলের সদর দফতরে বাংলাদেশ শাখার ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো ডেস্কে কর্মরত এসপি র্যাঙ্কের একজন পুলিশ কর্মকতা একটা মোবাইল চুরির লোভ সামলাতে পারল না। তাহলে দেশে কর্মরতরা কি করবে? তাদের কোয়ালিটি কেমন হবে? এই চোরদের কাছ থেকে দেশ কী আশা করতে পারে?