সমকাল ডেস্ক
এবারের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রভাবশালী প্রার্থী হেরে গেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা। পরাজিতদের মধ্যে আছেন অনেক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
সবশেষে পাওয়া খবর অনুযায়ী পরাজিতরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সাইফুর রহমান, বিএনপি মহাসচিব ও সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ,
জামায়াতে ইসলামীর সেত্রেক্রটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র), সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (স্বতন্ত্র), মহাজোট প্রার্থী সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জামায়াত নেতা আবদুস সুবহান, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, কৃষক শ্রমিক লীগের কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
স্বাধীনতাবিরোধী প্রার্থীদের মধ্যে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছাড়া অন্যরা শোচনীয়ভাবে হেরে গেছেন। তারা হলেন- মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এটিএম আজহারুল ইসলাম, আবদুস সুবহান, আবদুল খালেক মণ্ডল, রিয়াছাত আলী বিশ্বাস, আবদুল আজিজ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
সমকাল, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৮
মহারথীদের পতন, স্বাধীনতাবিরোধীরা ধরাশায়ী
নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীসহ শীর্ষ জামায়াত নেতারা পরাজিত
চট্টগ্রাম-১৪, কক্সবাজার-২ আসনে জিতেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুহাজিদ নির্বাচনে হেরে গেছেন। পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল ইসলাম এক লাখ ৪৪ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিজামী পেয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৯৪৪ ভোট। তিনি ২১ হাজার ৯৭০ ভোটে হেরেছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে মুজাহিদ মাত্র ৩০ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী (পিরোজপুর-১)ও পরাজিত হয়েছেন।
গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বিজয়ী হয়েছেন বলে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ২২ হাজার ৫০০ ভোট বেশি পেয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামশুল ইসলাম জিতেছেন।
আমিরের পাশাপাশি পরাজিত হয়েছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান (শেরপুর-১) এবং সাতক্ষীরা-২ ও ৪ আসনের প্রার্থীরা। সাতক্ষীরা-৩ আসনের প্রার্থী রিয়াছাত আলীও আছেন পরাজয়ের মুখে।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে মতিয়ার রহমান, বাগেরহাট-৩ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ শেখ, যশোর-১ আসনে আজিজুর রহমান, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পরওয়ার হেরেছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনেও জামায়াতের প্রার্থী হাবিবুর রহমান পরাজিত হয়েছেন।
পরাজিত হয়েছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম (রংপুর-২), আবদুস সুবহান মিয়া (পাবনা-৫)।
স্বাধীনতার বিরোধিতা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে−জামায়াতের এমন শীর্ষ নেতাদের কেউই নির্বাচনে জয় পাওয়ার অবস্থানে আসতে পারেননি। নির্বাচনে জামায়াত ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৩৪টি আসনে তারা চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এবং ৫টি আসনে বিএনপি ও মহাজোট প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
প্রথম আলো, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৮ Permalink
Subscribe to:
Posts (Atom)