কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

bdnews24

অধিকাংশ মন্ত্রী-ভিআইপি ধরাশায়ী

যুগান্তর রিপোর্ট :
রাজনীতির অঙ্গনের বেশকিছু চেনামুখ মন্ত্রী, ভিআইপির পতন হল এবার। নবম সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট সরকারের অধিকাংশ সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন ভিআইপি প্রার্থী ধরাশায়ী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে থাকা এসব জাঁদরেল নেতার অনেককে নবীনদের কাছেও হার মানতে হয়েছে।
পরাজিতদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, বিএনপির প্রবীণ নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বিএনপি মহাসচিব ও সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, স্থায়ী কমিটির অপর চার সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমাদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এলডিপির চেয়ারম্যান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ একটি আসনে বিজয়ী হলেও আরেকটি আসনে তার ভরাডুবি হয়েছে।
এছাড়াও এসব সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, মেয়র ও ভিআইপির মধ্যে রয়েছেনÑ বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও সাবেক দফতরবিহীন মন্ত্রী হারুনার রশিদ খান মুন্নু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক নৌমন্ত্রী আসম আবদুর রব, জোট সরকারের সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, ঢাকার মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মুফতি ফজলুল হক আমিনী, জামায়াত নেতা ও সাবেক সাংসদ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কবির হোসেন, এবায়দুল হক চৌধুরী ও নুরুল হুদা, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহীর মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক ত্রাণ উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচনের ফলাফল জানতে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেন সারাদেশের মানুষ। ফলাফলে বিএনপিসহ চারদলীয় জোট ও অন্যান্য দলের জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের ভরাডুবির খবরে হতচকিত হয়ে যান তারা। ফলে এ নিয়ে শুরু করেন চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন তাদের এ পরিণতি হল তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তারা। একদিকে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত হন, অন্যদিকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে অনেকে এ ফলাফলকে প্রত্যাশিত বলেই মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, এটাই তাদের পাওনা। আজকে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের নাম শীর্ষে থাকার পেছনে তাদের অনেকের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে। আবার অনেকে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবার আওয়ামী লীগের সুকুমার রঞ্জন ঘোষের কাছে এবং ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ মিজানুর রহমান খান দিপুর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। মুন্সীগঞ্জে তার অবস্থান তৃতীয়। প্রাপ্ত ভোট ৩৪ হাজার ১৪৭। এখানে বিজয়ী সুকুমার রঞ্জন ঘোষ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ১২০ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন বিএনপির শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৮ হাজার ৭৮১। ঢাকা-৬ আসনে বি. চৌধুরী তৃতীয় হয়েছেন। ৬৬ হাজার ৫৭৯ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন দিপু। ৪৪ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বিএনপির সাদেক হোসেন খোকা। অথচ গত নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বদরুদ্দোজা চৌধুরী ৯৪ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অন্যদিকে সুকুমার রঞ্জন ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৯৯৪ ভোট।
পঞ্চগড়-১ আসনে সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার মহাজোট প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধানের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। মজাহারুল হক পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ ভোট। আর জমিরউদ্দিন পেয়েছেন এক লাখ ৭ হাজার ৭২৬ হাজার ভোট। এখানে তিনি ৪৮ হাজার ৮২৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। অথচ বিগত নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৬৬৪ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোঃ নূরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৭০ হাজার ১৫৫ ভোট।
কুমিল্লা-১১ আসনে এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদকে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক। এ আসন থেকে বহুবারের নির্বাচিত সাংসদ কাজী জাফর গত নির্বাচনে অংশ নেননি।
বিএনপির প্রবীণ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এবার সিলেট-১ ও মৌলভীবাজার-৩ আসনেই ভরাডুবির পথে। সিলেট-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে তিনি অনেক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। সাইফুর রহমান ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৬৭ ভোট পান। মৌলভীবাজার-৩ আসনে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮৯২ ভোট। বিজয়ী আওয়ামী লীগের সৈয়দ মহসিন আলী পেয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৩ ভোট। বিগত নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে তিনি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল মাল আবদুল মুহিত পেয়েছিলেন ৯৩ হাজার ২১৮ ভোট।
নোয়াখালী-৫ আসনে মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ১১ হাজার ২০৪। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের পেয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৫ ভোট। গত নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৮৪ হাজার ৫২৪ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ওবায়দুল কাদের পেয়েছিলেন ৪৫ হাজার ৯০৬ ভোট।
নরসিংদী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এবার মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের জহিরুল হক মোহনের কাছে ধরাশায়ী হলেন। মান্নান ভূঁইয়ার প্রাপ্ত ভোট ৬৬ হাজার ৯৪১ ও মোহনের প্রাপ্ত ভোট ৯৩ হাজার ৭৪৬। অবশ্য এ আসনে তার আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন একসময়ের তার শিষ্য চারদলীয় জোটের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার। মান্নান ভূঁইয়া বিগত নির্বাচনে ৬১ হাজার ৪৫৩ ভোট পেয়েছিলেন। ওই সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া পেয়েছিলেন ৪৪ হাজার ৯৬০ ভোট।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে একাধিকবারের সাংসদ বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে এবার আওয়ামী লীগের এবিএম আনোয়ারুল হকের কাছে হার মানতে হচ্ছে। আনোয়ারুল হক পেয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৯ ভোট। আর দেলোয়ার পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৯৫৬ ভোট। বিগত নির্বাচনে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ৮৫ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৫৪১ ভোট।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীকে পাবনা-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের শামসুল হক টুকুর কাছে হার মানতে হয়েছে। টুকু পেয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪ ভোট। আর নিজামী পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯৪৪ ভোট। গত নির্বাচনে মতিউর রহমান নিজামী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবু সাইয়িদ পেয়েছিলেন ৯৮ হাজার ১১৩ ভোট।
কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভূঁইয়ার কাছে হার মানতে হয়েছে। অথচ বিগত নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ৫৪ হাজার ৬৫১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের হাসান জামিল সাত্তার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের এম ইদ্রিস আলীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৭৮৫ ভোট। ইদ্রিস আলী ১ লাখ ২০ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমদ জামায়াতের শামসুল ইসলামের কাছে পরাজিত হলেও চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আফসারউদ্দিনের সঙ্গে জয়ী হয়েছেন। শামসুল পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৩৩৯ ও অলি আহমদ পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৪১২ ভোট। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে অলি পেয়েছেন ৮২ হাজার ৩৬ ভোট। আফসারউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৬৪৬ ভোট। অথচ গত নির্বাচনে তিনি ৭০ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী আফসারউদ্দিন পেয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৭শ’ ভোট। চট্টগ্রাম-১৪ আসনেও ধরা কর্নেল অলি। এ আসনে তিনি আওয়ামী লীগের একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে হেরেছেন। অবশ্য বিগত নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে ৬৪ হাজার ১৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ১ লাখ ৬ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরী।
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন জোট সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী বিএনপির সহ-সভাপতি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এখানে মোশাররফ হোসেন ১ লাখ ২২ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর চৌধুরী কামাল ৭৫ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং মুজাহিদ ২৫ হাজার ১১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
চারদলীয় জোট সরকারের ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর নওগাঁ-৩ আসনে মহাজোট প্রার্থী আকরাম হোসেন চৌধুরীর কাছে ভরাডুবি হয়েছে। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪০ ভোট পেয়েছেন। আকরাম হোসেন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৪০ ভোট।
যশোর-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের খালেদুর রহমান টিটো। সেখানে বিএনপির তরিকুল ইসলাম ১ লাখ ২২ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। বিজয়ী টিটো ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৯২ ভোট পান।
পটুয়াখালী-১ আসনে মহাজোট প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়ার কাছে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর। এখানে শাহজাহান মিয়া পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ১৩২ ভোট। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৭ ভোট।
ঢাকার মেয়র ও বিএনপির সাবেক নগর সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা-৬ আসনে এবার আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা মিজানুর রহমান খানের কাছে পরাজিত হলেন। বিগত নির্বাচনে খোকা ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৮৬ পেয়ে জয়ী হন। ৯৮ হাজার ২২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ মুফতি ফজলুল হক আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধার সঙ্গে ধরাশায়ী হয়েছেন। মৃধা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৫৬৫ ভোট। আমিনী পেয়েছেন ২২ হাজার ২৪৪ ভোট।

যুগান্তর, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৮

BBC Asia-Pacific

CNN.com - Asia