কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

bdnews24

নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীসহ শীর্ষ জামায়াত নেতারা পরাজিত

চট্টগ্রাম-১৪, কক্সবাজার-২ আসনে জিতেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুহাজিদ নির্বাচনে হেরে গেছেন। পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল ইসলাম এক লাখ ৪৪ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিজামী পেয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৯৪৪ ভোট। তিনি ২১ হাজার ৯৭০ ভোটে হেরেছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে মুজাহিদ মাত্র ৩০ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী (পিরোজপুর-১)ও পরাজিত হয়েছেন।

গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বিজয়ী হয়েছেন বলে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ২২ হাজার ৫০০ ভোট বেশি পেয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামশুল ইসলাম জিতেছেন।

আমিরের পাশাপাশি পরাজিত হয়েছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান (শেরপুর-১) এবং সাতক্ষীরা-২ ও ৪ আসনের প্রার্থীরা। সাতক্ষীরা-৩ আসনের প্রার্থী রিয়াছাত আলীও আছেন পরাজয়ের মুখে।

ঝিনাইদহ-৩ আসনে মতিয়ার রহমান, বাগেরহাট-৩ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ শেখ, যশোর-১ আসনে আজিজুর রহমান, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পরওয়ার হেরেছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনেও জামায়াতের প্রার্থী হাবিবুর রহমান পরাজিত হয়েছেন।

পরাজিত হয়েছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম (রংপুর-২), আবদুস সুবহান মিয়া (পাবনা-৫)।
স্বাধীনতার বিরোধিতা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে−জামায়াতের এমন শীর্ষ নেতাদের কেউই নির্বাচনে জয় পাওয়ার অবস্থানে আসতে পারেননি। নির্বাচনে জামায়াত ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৩৪টি আসনে তারা চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এবং ৫টি আসনে বিএনপি ও মহাজোট প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

প্রথম আলো, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৮

BBC Asia-Pacific

CNN.com - Asia